আমাকে আমার মতো লিখতে দাও, আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি...
---ইউসুফ ইমরান
___________________________________________________________________________
অনেকিন পর লিখছি। জড়তা কাজ করছে। নাম দিয়েছিলাম ব্রেক-দা-ট্রেডিশন। এখন হাসি পাচ্ছে। নিজেই ব্রোকেন হয়ে এতদিন...কী করেছি আসলে আমি? ছদ্মনামে কিছু লিখেছি ঠিক আছে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে লেখার মতো কিছুই লিখি নি। স্ত্রীর মুখের মায়ায় কয়েকটা কবিতা লিখেছি, তার মধ্যে কয়েকটা হয়তো খারাপ হয় নি, কিন্তু মোটের উপর, এতদিন, আসলে আমি ঠিক লেখক ছিলাম না।
এই ব্রেক-দা-ট্রেডিশনের কাজ যখন প্রথম শুরু করি, তখন আমি ঢাকা মেইনে। শাহাজালাল ইসলামি ব্যাংক। প্রতিদিন সকালের দুই আড়াই ঘণ্টা প্লাস রাতের ফেরার পথের আড়াই-তিন ঘণ্টা রাস্তা পাড়ি দিয়ে আবদুল্লাপুর-দিলকুশা অফিস করি, আর ফিরে অনলাইনে ছদ্মনামে যুদ্ধ করি। সেই যুদ্ধ খুবই অর্থপূর্ণ। সারাজীবনই অর্থপূর্ণ থাকবে। কিন্তু কবিতা আসলে নতুন কিছু লিখি নি। মানে ধরার মতো, বলার মতো। সেই পুরোনো ভার্সিটি লাইফের গুলোই একটু সংশোধন করে ব্লগে...।
একটু কি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম? বিয়ে তো করেছি ২০১১-এর ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু বিয়ের আগে বলতে গেলে একা। ঘরে ফিরে খাওয়া দাওয়ার পর, একাই তো। সত্যিকারের কবি হলে একটা বই বের করার মতো অবস্থা হয়ে যেত। ক..ত বিষয় নিয়ে কত গভীর ভাবনা প্রকাশ করেছি বিভিন্ন জায়গায়। প্রকৃত গভীরতা থাকলে আমার চিন্তা ভাবনা মৃত হয়ে যেত না। একটা কিছু হতো। আমি বলছি না বই হয়ে প্রকাশিত হতে হবে; কিন্তু অফ হয়ে যাবে কেন? কত লোক দেখেছি, লেখার প্লট খুঁজে পায় না। একই গত বাঁধা কথা বার্তা নিয়ে রাজ্যের লেখা লিখে ফেলছে। অথচ আমার মাথায় গিজগিজ করতো বিষয়। কী আশ্চর্য! এত বিষয় যার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় সর্বক্ষণ, তার তো চুপ করে বসে থাকার কথা না!
তাহলে কি হারিয়ে ফেলছিলাম আমি নিজেকে?
এলোমেলো?
এই যে এই বাতাস যেমন অর্থহীন, আকাশের মেঘেরা যেরকম উদ্দেশ্যহীন, আমি কি সেইরকম কিছূ হয়ে গিয়েছি?
ওয়েট! ওয়েট!!
বাতাস অর্থহীন, এইকথা নি:সন্দেহে বলে শুধু এলোমেলো লোকেরাই।
আকাশের মেঘের উদ্দেশ্য জানে না বলেই যে ভাবে এই মেঘ উদ্দেশ্যহীন, সেই তো নিজ থেকে হারিয়ে গিয়েছে।
অর্থ হলো, এই কথা প্রমাণিত হলো, উপমা যেমনই হোক, যার মতো করেই হোক, আমি এলোমেলোই হয়ে আছি কিছুদিন! নিজেকে সত্যিই খুঁজে পাই নি।
কিন্তু, এই কথা আজকে বলি। আশার কথা বলি। এই এলোমেলোত্ব, আত্মহারাত্ব, ইত্যাদির অন্তর্নিহিত গূঢ় রহস্য হয়তো আমি জানি না, কিন্তু এইটুকু জানি, নিজের এলোমেলোত্ব উপলব্ধিকরণটাই হলো নিজেকে গুছানোর প্রাথমিক স্টেপ।
আশা করছি
শীঘ্রই আবার লিখতে শুরু করবো।
আগেরই মতো...
---ইউসুফ ইমরান
___________________________________________________________________________
অনেকিন পর লিখছি। জড়তা কাজ করছে। নাম দিয়েছিলাম ব্রেক-দা-ট্রেডিশন। এখন হাসি পাচ্ছে। নিজেই ব্রোকেন হয়ে এতদিন...কী করেছি আসলে আমি? ছদ্মনামে কিছু লিখেছি ঠিক আছে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে লেখার মতো কিছুই লিখি নি। স্ত্রীর মুখের মায়ায় কয়েকটা কবিতা লিখেছি, তার মধ্যে কয়েকটা হয়তো খারাপ হয় নি, কিন্তু মোটের উপর, এতদিন, আসলে আমি ঠিক লেখক ছিলাম না।
এই ব্রেক-দা-ট্রেডিশনের কাজ যখন প্রথম শুরু করি, তখন আমি ঢাকা মেইনে। শাহাজালাল ইসলামি ব্যাংক। প্রতিদিন সকালের দুই আড়াই ঘণ্টা প্লাস রাতের ফেরার পথের আড়াই-তিন ঘণ্টা রাস্তা পাড়ি দিয়ে আবদুল্লাপুর-দিলকুশা অফিস করি, আর ফিরে অনলাইনে ছদ্মনামে যুদ্ধ করি। সেই যুদ্ধ খুবই অর্থপূর্ণ। সারাজীবনই অর্থপূর্ণ থাকবে। কিন্তু কবিতা আসলে নতুন কিছু লিখি নি। মানে ধরার মতো, বলার মতো। সেই পুরোনো ভার্সিটি লাইফের গুলোই একটু সংশোধন করে ব্লগে...।
একটু কি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম? বিয়ে তো করেছি ২০১১-এর ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু বিয়ের আগে বলতে গেলে একা। ঘরে ফিরে খাওয়া দাওয়ার পর, একাই তো। সত্যিকারের কবি হলে একটা বই বের করার মতো অবস্থা হয়ে যেত। ক..ত বিষয় নিয়ে কত গভীর ভাবনা প্রকাশ করেছি বিভিন্ন জায়গায়। প্রকৃত গভীরতা থাকলে আমার চিন্তা ভাবনা মৃত হয়ে যেত না। একটা কিছু হতো। আমি বলছি না বই হয়ে প্রকাশিত হতে হবে; কিন্তু অফ হয়ে যাবে কেন? কত লোক দেখেছি, লেখার প্লট খুঁজে পায় না। একই গত বাঁধা কথা বার্তা নিয়ে রাজ্যের লেখা লিখে ফেলছে। অথচ আমার মাথায় গিজগিজ করতো বিষয়। কী আশ্চর্য! এত বিষয় যার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় সর্বক্ষণ, তার তো চুপ করে বসে থাকার কথা না!
তাহলে কি হারিয়ে ফেলছিলাম আমি নিজেকে?
এলোমেলো?
এই যে এই বাতাস যেমন অর্থহীন, আকাশের মেঘেরা যেরকম উদ্দেশ্যহীন, আমি কি সেইরকম কিছূ হয়ে গিয়েছি?
ওয়েট! ওয়েট!!
বাতাস অর্থহীন, এইকথা নি:সন্দেহে বলে শুধু এলোমেলো লোকেরাই।
আকাশের মেঘের উদ্দেশ্য জানে না বলেই যে ভাবে এই মেঘ উদ্দেশ্যহীন, সেই তো নিজ থেকে হারিয়ে গিয়েছে।
অর্থ হলো, এই কথা প্রমাণিত হলো, উপমা যেমনই হোক, যার মতো করেই হোক, আমি এলোমেলোই হয়ে আছি কিছুদিন! নিজেকে সত্যিই খুঁজে পাই নি।
কিন্তু, এই কথা আজকে বলি। আশার কথা বলি। এই এলোমেলোত্ব, আত্মহারাত্ব, ইত্যাদির অন্তর্নিহিত গূঢ় রহস্য হয়তো আমি জানি না, কিন্তু এইটুকু জানি, নিজের এলোমেলোত্ব উপলব্ধিকরণটাই হলো নিজেকে গুছানোর প্রাথমিক স্টেপ।
আশা করছি
শীঘ্রই আবার লিখতে শুরু করবো।
আগেরই মতো...
No comments:
Post a Comment